এ পৃথিবীতে আল্লাহর দিনকে বাস্তবায়ন করতে যেয়ে অথবা বিজয়ী করতে যেয়ে কাফেরদের বিরুদ্ধে সশস্ত্র সংগ্রামে যে মুমিন ব্যক্তি নিহত হয় তাকে শহীদ বলে।
আল্লাহর হাবিব সাঃ বলেছিলেন, যে ব্যক্তি আল্লাহর দ্বীনকে আল্লাহর বিধানকে কিংবা আল্লাহর আইনকে বাস্তবায়নের জন্য যে সংগ্রাম করে যাচ্ছে, সে আল্লাহর রাস্তায় আছে আর সে আল্লাহর রাস্তায় থাকা অবস্থায় যদি মৃত্যুবরণ করে বা নিহত হয় তাকে ইসলাম শহীদ বলে ঘোষণা করেছে।
তবে সেক্ষেত্রে একটি শর্ত রয়েছে, সেটি হচ্ছে দুনিয়ার কোন কারণে দুনিয়ার কোন লোভে পড়ে দুনিয়ার কোন স্বার্থের জন্য যদি কেউ আল্লাহর রাস্তায় জিহাদ করে মৃত্যুবরণ করে সে শহীদের কোন মর্যাদা আল্লাহতালার কাছে নেই।
* শহীদ দুই প্রকার একটা হচ্ছে যারা আল্লাহর রাস্তায় নিহত হয়েছে তারা আরেকটা হচ্ছে যারা দুনিয়াতে আল্লাহর রাস্তায় নিহত হয়নি কিন্তু পরকালে তারা শাহাদাতের মর্যাদা লাভে ধন্য হবে।
আল্লাহতায়ালা মৃত বলতে নিষেধ করেছেন যারা আল্লাহর রাস্তায় জীবন দিয়ে নিহত হয়েছেন।
আমরা যদি সাহাবাদের জীবনের দিকে তাকাই তাহলে দেখব ওনারা সবসময় আল্লাহতালার কাছে শাহাদাতের মৃত্যু কামনা করতেন।
ওমরে ফারুক রাদিয়াল্লাহু তা'আলা আনহু সবসময় আল্লাহর কাছে শাহাদাতের মৃত্যু চাইতেন।
রাসূল সাঃ বলেন, যে বা যারা আল্লাহর রাস্তায় নিহত হয় তারা তো শহীদ বটেই।পাশাপাশি মহামারীতে যারা মারা যায় তারাও কিন্তু শহীদ। প্লেগ রোগে বা মহামারীতে এই যে, করোনাভাইরাসের সময় যারা ঈমানের সাথে ইন্তেকাল করেছে তাদেরকেও আল্লাহতালা শাহাদাতের মর্যাদা দান করবেন।
পেটের কোনো রোগে আক্রান্ত হয়ে কেউ যদি মারা যায় সে শহীদ। পানিতে ডুবে যদি কেউ মারা যায় সেও শহীদ।
অন্যায় ভাবে যদি কাউকে হত্যা করা হয় সেও শহীদ। কেউ তার দ্বীন কে হেফাজত করতে যেয়ে যদি মৃত্যুবরণ করে সে শহীদ।
সম্পদ বাঁচাতে যেয়ে কেউ যদি মৃত্যুবরণ করে সে শাহিদ। নিজের পরিবার কে সেইফ করতে যেয়ে কেউ যদি মৃত্যুবরণ করে সে শহীদ। সম্মান ইজ্জত কে বাঁচাতে যেয়ে যদি কেউ মৃত্যুবরণ করে সেও শাহীদ।
ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়ে যদি কেউ মারা যায় বা কোন দেয়ালের নিচে চাপা পড়ে যদি কেউ মারা যায় সে শহীদ। ফুসফুসের কোন ভয়ানক রোগে যদি কেউ মারা যায় সে শহীদের মর্যাদা পাবে। (আল হাদিস)
আগুনে পুড়ে যদি কেউ মারা যায় সেও শহীদ। বাচ্চা পেটে ধারণ করেছে অর্থাৎ গর্ভবতী মা যদি প্রেগনেন্সির কারণে কিংবা বেবি ডেলিভারি করতে যেয়ে যদি মারা যায় সেও শহীদ।
(আলোচক : মিজানুর রহমান আজহারী)
0 Comments